BLOGGER TEMPLATES AND TWITTER BACKGROUNDS »

Tuesday, April 27, 2010

ইন্টারনেটে ইসলাম প্রচারের কিছু টিপস


ইন্টারনেট আবিষ্কৃত হয়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে এক যুগের বেশি সময় ধরে। তথ্য-প্রযুক্তির দ্রুত আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে এর জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। ইন্টারনেট মিডিয়াই একমাত্র মিডিয়া যেখানে লেখক ও পাঠকের মধ্যে সরাসরি তাৎক্ষণিক অনুভূতির আদান-প্রদান সম্ভব। ফলে, সর্বস্তরের মানুষের কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে ইন্টারনেট মিডিয়াই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মিডিয়া।

মিডিয়া সবসময়ই দুই পক্ষের মাঝে মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েব মিডিয়া -সবকটির ক্ষেত্রে একই কথা। দুই পক্ষের প্রথম পক্ষ লেখক, প্রেরক বা উপস্থাপক। আর দ্বিতীয় পক্ষ পাঠক বা প্রাপক। প্রথম পক্ষ এটাকে যেভাবে কাজে লাগাতে চায়, দ্বিতীয় পক্ষের কাছে তা সেভাবেই কাজ করে। প্রথম পক্ষ যদি একে মানবতা ও নৈতিকতার পক্ষে কাজে লাগাতে চায়, দ্বিতীয় পক্ষের কাছে সে কাজটিই তুলে ধরে মিডিয়া। আবার প্রথম পক্ষ যদি একে অশ্লীলতা ও নোংড়ামির পক্ষে কাজে লাগাতে চায়, দ্বিতীয় পক্ষের কাছে মিডিয়া তা-ই তুলে ধরে।


কাজেই মিডিয়া একটি নিরীহ বিষয়। যে যেভাবে তাকে ব্যবহার করতে চায়, সে নিঃসংকোচে নিজেকে সেভাবেই ব্যবহৃত হতে দেয়। এ বিবেচনায় মিডিয়াকে নিরপেক্ষ বললেও খুব বেশি বলা হবে না মনে করি।


তবে প্রথম পক্ষের চিন্তা-চেতনার প্রতিফলনই যে মিডিয়া ঘটায়, তা সুস্পষ্ট। দ্বিতীয় পক্ষের চিন্তা-চেতনার বিবেচনা মিডিয়া করে না, তা করা মিডিয়ার দায়িত্বও নয়। বরং, সে দায়িত্ব অর্পিত প্রথম পক্ষের ওপর। প্রথম পক্ষ এখানে দ্বিতীয় পক্ষের চিন্তা-চেতনার বিবেচনা করবে, নাকি নিজেদের চিন্তা-চেতনা দ্বিতীয় পক্ষের ওপর চাপিয়ে দিবে, তা একান্তই প্রথম পক্ষের নিজস্ব ব্যাপার। অবশ্য দ্বিতীয় ক্ষেত্রে প্রথম পক্ষকে স্বার্থপর ছাড়া আর কি-ই-বা বলার থাকে!


যদি বলা হয়, আমাদের মিডিয়াগুলোতে দ্বিতীয় পক্ষের চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটে, তাহলে এও বলতে হয়, দ্বিতীয় পক্ষ তথা পুরো পাঠকসমাজ (বা অধিকাংশ) অন্যায়-অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দিতে বিশ্বাসী; যা অবাস্তব বৈ কী! আবার যদি বলি, তা প্রথম পক্ষের অন্ধ সমর্থন করে, তাও পুরোপুরি সঠিক হয় না। তাহলে কী বলতে পারি আমরা? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকটা এমন হতে পারে যে, মিডিয়া প্রথম পক্ষের দ্বারা ব্যবহৃত হয়, তার পক্ষাবলম্বন করে না।


সারকথা, মিডিয়া কোনো খারাপ বস্তু নয় যে একে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। মিডিয়া কেবল প্রচার মাধ্যম, যে যেভাবে একে যে কাজের প্রচারে লাগায়, সে সেভাবেই সে কাজের প্রচারনায় ব্যবহৃত হয়। এ কথা যেভাবে প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও ওয়েব মিডিয়ার ক্ষেত্রেও সত্য।


দুই.

ওয়েব মিডিয়ায় মুসলমানদের অবস্থান খুব দুর্বল। বিশেষ করে নৈতিকতার চর্চা এখানে খুবই নগন্য। অমুসলিম ও ইয়াহুদীদের সাইট মুসলমানদের সাইটের তুলনায় ১২০০ গুণ বেশি, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটিই দেখা যায়। অশ্লীলতা ও নীল ছবির সয়লাব এত বেশি যে অল্প কিছু মুসলিম সাইটের অবস্থান সে তুলনায় অনুল্লেখযোগ্য।

উদাহরণ স্বরুপ গুগল ডট কম ডট বিডির কথা ধরা যাক। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য গুগলের এই সংস্করণ। এখানে সম্প্রতি গুগলের নতুন একটি ফিচার যুক্ত হয়েছে। যার ফলে একটি অক্ষর টাইপ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই অক্ষর দ্বারা শুরু হওয়া শব্দগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি সার্চ হওয়া (খোঁজ করা) ১০ টি শব্দের লিস্ট চলে আসে। রুচিশীল ব্যক্তিমাত্রই এ লিস্ট দেখে বমি করতে বাধ্য হবেন। কীবোর্ডের একটি অক্ষরও এমন নেই যা টাইপ করলে কোনো ভালো শব্দের লিস্ট আসে। এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো, বাংলা ভাষায় গুগলে অশ্লীল শব্দই বেশি সার্চ করা হয়।


এ থেকে আমরা বাঙালী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক একটা চিত্র অনুমান করতে পারে। কিন্তু এই অধপতনের কারণ কী? কেউ কেউ বলেন, এর কারণ হলো, ব্যবহারকারীদের রুচিবিকৃতি বা রুচিবিকৃত ব্যবহারকারীদের আধিক্য। কিন্তু আমার মত হলো, এর কারণ, পর্যাপ্ত পরিমাণ ভালো সাইটের অনুপস্থিতি। কাজেই, ভালো সাইটের আধিক্য বা স্বল্প সংখ্যক ভালো সাইটের অত্যধিক প্রচারই কেবল আমাদেরকে এই অধপতন থেকে রক্ষা করতে পারে।


তিন.

ইসলাম বরাবর সৎ কাজের দিকে মানুষকে আহ্বান করার প্রতি উৎসাহ দিয়ে আসছে। রাসূল সা. বলেন,


"যে ব্যক্তি মানুষকে কোনো ভালো কাজের দিকে আহ্বান করে, তাকে তার অনুসারীর ভালো কাজের সমান সওয়াব দেয়া হয়; অথচ ঐ ব্যক্তির সওয়াবও কোনো অংশে কমে না। আর যে ব্যক্তি কোনো খারাপ কাজের দিকে মানুষকে আহ্বান করে, তার ওপর তার অনুসারীর খারাপ কাজটির সমান গুনাহ দেয়া হয়। অথচ তার অনুসারীর পাপের অংশও এতটুকু কমে না।" (মুসলিম:৬৯৮০, তিরমিযী:২৬৭৪, ইবনে মাজাহ:২০৬)

তিনি আরো বলেন,


.." আল্লাহর শপথ! তোমার মাধ্যমে একটি লোকও যদি হিদায়াত লাভ করে, তবু তা লাল উটনীর চেয়েও উত্তম।" (লাল উটনী তৎকালীন সময়ে মানুষের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। এ দিয়ে যে কোনো প্রিয় বস্তু বোঝানো হয়েছে) - (বুখারী:২৭৮৩)

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা'আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। (৯:৭১)

তিনি আরো বলেন,


"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" (৪১:৩৩)

বাস্তব জগতে মানুষকে ভালো কাজের উৎসাহ দেয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ওয়েব জগতে সেই গুরুত্ব আরো বেশি। বর্তমান প্রজন্মের কমিউনিটিগুলো গড়ে উঠছে ওয়েব জগতেই। তাদের ভালো কাজ ও খারাপ কাজগুলো ওয়েবকেন্দ্রিকই হয়ে থাকে। অন্তত, ভালো বা খারাপ কাজের প্রেরণা তারা ওয়েব থেকেই পেয়ে থাকে, এ কথা তো বলাই যায়।


উল্লিখিত আয়াত ও হাদীসের নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্র বর্তমানে ওয়েব জগতও। ভার্চুয়ালি হলেও এখানকার মানুষজনের কার্যক্রম খুব এ্যাফেকটিভ হয়ে থাকে। এ জগতের উৎসাহ-প্রেরণায় বাস্তব জগতে তারা ভালো বা খারাপ কিছু করে থাকে। কাজেই, এ জগতের বাসিন্দাদের ভালো কাজের পরামর্শ দেয়া ও খারাপ কাজ থেকে সতর্ক করা ওলামায়ে কিরাম ও সর্বস্তরের ইসলামপ্রিয় মানুষের অপরিহার্য দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।


ওয়েব মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে আমরা ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করতে পারি:


ওয়েব মিডিয়ায় আমাদের কীরূপ ভূমিকা হওয়া উচিৎ, কীভাবে ওয়েব মিডিয়ায় ইসলামের দাওয়াতের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারি, নিম্নে সে সম্পর্কিত কিছু টিপস দেয়া হলো।


ওলামায়ে কেরামের প্রতি:

যাদের মাদ্রাসা আছে (মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল/কার্যকরী কমিটির সদস্য):


১. মাদ্রাসার ওয়েবসাইট করে সেখানে মাদ্রাসার সব ইনফরমেশন রাখা যেতে পারে। মাদ্রাসায় পড়া কেন প্রয়োজন, এতে দেশ ও মানবতার কীরূপ সেবা হয়, এ ধরনের প্রবন্ধ-নিবন্ধ তাতে থাকতে পারে।

২. মাদ্রাসার সকল শিক্ষককে প্রতি মাসে/দুই মাসে ন্যূনতম একটি করে ছোট গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখতে বলা হবে। সেগুলো দায়িত্বশীল কারো সম্পাদনার পর ইন্টারনেটে মাদ্রাসার ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে।
৩. মাদ্রাসার ছাত্ররা যে ত্রৈমাসিক দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে, সেগুলো মাদ্রাসর ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে।
৪. মাদ্রাসার কার্যক্রম, সিলেবাস, বার্ষিক মাহফিল ইত্যাদি সবকিছু ওয়েবসাইটে থাকবে। মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাস সহজলভ্য না হওয়ার কারণে এর শিক্ষাপদ্ধতি মানুষের কাছে অনেকটাই অস্পষ্ট। যার কারণে ভুল বুঝাবুঝি বেশি হয়ে থাকে।
৫. মাহফিল ও ইসলাহী মজলিসে বক্তাদের বক্তব্য ও আলোচনা ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
৬. ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করার অপশন থাকবে। যেন পাঠক/ভিজিটর সহজেই প্রশ্ন করতে পারেন এবং যে কোনো বিষয়ে ইসলামী সমাধান পেয়ে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য যে, এখন এই বিশ্বগ্রামের (Global Village, Internet) মানুষের কাছ থেকে মাদ্রাসায় গিয়ে স্কলারদের কাছে ইসলামী সমাধান চাওয়ার কল্পনা করা প্রায় অবাস্তব। মানুষ এখন মাউসের ক্লিকে সবকিছু করতে অভ্যস্ত। কাজেই ইসলামী সমাধান পাওয়াও তাদের কাছে সহজ করে দেয়া এখন সময়ের দাবী।


লেখক:


১. নিজের লিখিত প্রবন্ধ, যেগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো ব্যক্তিগত সাইটে প্রকাশ করা যেতে পারে।

২. ছোট ছোট অনুভূতি, দৈনন্দিন ডায়েরী বা অপ্রকাশিত ইসলামী লেখাগুলো সাইটে দেয়া যেতে পারে।
৩. প্রকাশিত বইগুলোর ভূমিকা, সূচি, প্রাপ্তিস্থান ইত্যাদি সাইটে দেয়া যেতে পারে। যেন ভিজিটর চাইলে সহজেই বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। সম্ভব হলে আপনার সাইটের মাধ্যমে সরাসরি বই বিক্রয়ের ব্যবস্থাও করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ করে দেন।

উল্লেখ্য, লেখকদের প্রকাশিত বইগুলো দেশের মানুষের কাছেই সবখানে পৌঁছে না। আর যারা বিদেশে আছেন, তাদের কাছে পৌঁছানোও অনেক সময় সম্ভব হয় না। কাজেই ওয়েবে ভিজিটররা বই ফ্রী পড়তে পারলে ক্ষতি তো হবেই না, বরং, বই ভালো লাগলে পাঠক তা নিশ্চয় কিনে পড়বেন। সবচেয়ে বড় কথা, ইসলামের অনেক বড় খিদমত হবে, যা নি:সন্দেহে যে কোনো ইসলামী লেখকের প্রথম বাসনা হওয়া উচিৎ।


৩. মন্তব্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে পাঠক ও ভিজিটরদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করা যেতে পারে। এতে মানুষ ইসলামী লেখাগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করে, বা কীভাবে তাদের কাছে লেখাগুলো এলে তারা বেশি উপকৃত হয় -এ সম্পর্কে একটা অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।


উল্লেখ্য, আমাদের ইসলামী লেখাগুলোকে অনেকেই সমাজবিচ্ছিন্ন লেখা বলে থাকেন। এর কারণ, সমাজের মানুষের চাহিদা, তাদের অনুভূতি লেখকরা অনেকাংশেই জানেন না বা বুঝেন না। ওয়েবে লিখলে মন্তব্যের মাধ্যমে পাঠক লেখকের ভুল ধরিয়ে দেন। লেখক পাঠকের কোনো অনুভূতিতে আঘাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে পাঠক তা জানিয়ে দেন। সাধারণ থেকে সাধারণ পাঠকও নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। যা নি:সন্দেহে যে কোনো লেখকের জন্য একটি বড় অভিজ্ঞতা।


ইসলামী বই প্রকাশক:


১. প্রকাশনার একটি নিজস্ব সাইট থাকতে পারে। সেখানে প্রকাশিত সব বই এর প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচি, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান উল্লেখ করা যেতে পারে।

২. নতুন নতুন বইয়ের সংবাদ ও রিভিউ প্রকাশ করা যেতে পারে। এতে প্রকাশক ও পাঠক উভয়েরই লাভ।
৩. ই-কমার্সের মাধ্যমে সহজে বই বিক্রয় করা যেতে পারে। এতে লেখক, প্রকাশক ও পাঠক -সকলেরই লাভ।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর অনেক দেশেই ইসলামী প্রকাশনাগুলো এখন ই-কমার্সের দিকে ঝুকছে। ফলে, পৃথিবীর এক প্রান্তের বই অন্য প্রান্তে বিক্রয় করা এখন একটি মাউসের ক্লিকেই সম্ভব। পিছিয়ে আছে কেবল বাঙালীরা।


আলেম বক্তা/খতীব:


১. নিজের নামে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। ভেবে দেখার বিষয়, এটা বিনয়ের পরিপন্থী নয়, বরং, দাওয়াতের একটা বড় মাধ্যম।
Sultan.org/a/ থেকে علماء و دعاة অংশে আরব আলেমদের ব্যক্তিগত সাইটগুলো দেখতে পারেন।)

উল্লেখ্য, (যারা মিডিয়ায় অংশগ্রহণকে বিনয়ের পরিপন্থী মনে করেন, তাদের প্রতি সবিনয়ে বলছি,) জুমার খুতবাও একটি মিডিয়া। ওয়াজ মাহফিলও একটি মিডিয়া। অতএব ওয়াজের মাঠে ওয়াজ করা যদি বিনয়ের পরিপন্থী না হয়, প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক বা ওয়েব মিডিয়ায় অংশগ্রহণও বিনয়ের পরিপন্থী না হওয়ার কথা। মিডিয়া অর্থ মাধ্যম। প্রচার মাধ্যম। জুমার খুতবা, ওয়াজ ইত্যাদির উদ্দেশ্যও প্রচার। ইসলাম প্রচার। তাহলে এতদুভয়ের মাঝে ফারাকটা কি খুব বড়? বরং, জুমার একটি খুতবা বা ওয়াজের একটি মাহফিল -এর মাধ্যমে যতগুলো মানুষের কাছে ইসলাম প্রচার করা যাবে, তার চেয়ে বহু গুন বেশি প্রচার সম্ভব আধুনিক মিডিয়ার মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে সত্যিই ভাবা প্রয়োজন।


২. ব্যক্তিগত সাইটে নিজের ওয়াজ, জুমার বয়ান ইত্যাদির অডিও রাখতে পারেন।

৩. নিজের প্রবন্ধ-নিবন্ধ রাখতে পারেন।
৪. দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর নানা ইসলামী দিক তুলে ধরে ব্লগ লিখতে পারেন।
৫. পাঠক যেন আপনার কাছে প্রশ্ন করতে পারে, সে অপশন রাখতে পারেন।

ইসলামী পত্রিকা:


বাস্তবতা হলো, নতুন প্রজন্মের পাঠক প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতি ক্রমেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। মাউসের ক্লিকে সবকিছু করতে অভ্যস্ত এ প্রজন্মের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দিতে হলে প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি ওয়েব মিডিয়াতেও সরব অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এজন্য ইসলামী পত্রিকাগুলোকে পূর্বাপর সকল সংখ্যাসহ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে অনুরোধ করছি। যেন পাঠক যে কোনো বিষয়ে ইন্টারনেটে খুঁজলে তার ইসলামী সমাধান পেয়ে যেতে পারে।


ছাত্র ও অন্যান্য জনসাধারণ:


উপরে উল্লিখিত কিছু বিশেষ পয়েন্ট ছাড়া সর্বস্তরের ইসলামপ্রিয় ভাই-বোনেরা ইন্টারনেটে ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন। এটা হতে পারে বিভিন্ন ভাবে :


কমিউনিটি ব্লগ ও ফোরামের মাধ্যমে :


১. বিভিন্ন ইসলামী সাইটের এ্যাড্রেস ও এর বিভিন্ন কন্টেন্ট নিয়ে লেখা।

২. বিভিন্ন ইসলামী আর্টিকেল সূত্রসহ প্রকাশ করা।
৩. সময়মত বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামী লিংক কালেকশন প্রকাশ করা। যেমন হজ্জ্বের মৌসুমে হজ্জ্ব বিষয়ক লিংক কালেক্ট করে সংকলন প্রকাশ করা। বা, রোজার সময় রোজা সংশ্লিষ্ট লিংক প্রকাশ করা। বা, নবীজীর স. জীবনীবিষয়ক লেখার লিংক সমগ্র প্রকাশ করা।
৪. ইসলাম নিয়ে লিখেন, এমন লেখককে উৎসাহ দেয়া।
৫. কোনো লেখক কোনো ভাবে ইসলামকে কটাক্ষ করে থাকলে প্রজ্ঞার মাধ্যমে মন্তব্যে তাকে বোঝানো।
৬. বিদাত বা যে কোনো ভুল ভ্রান্তি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
৭. বিভিন্ন আয়াত ও হাদীস প্রকাশ করে মানুষকে পাপ ও সওয়াব সম্পর্কে সচেতন করা।
৮. ব্লগারদের মধ্যে ঝগড়া হতে দেখলে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে তা নিরসন করা।
৯. কোনো ভালো কাজের ব্যাপারে জানা থাকলে মানুষকে তা জানানো।
১০. কেউ সাহায্য চাইলে তাকে সাহায্য করা। যেমন কারো রক্তের প্রয়োজন হলে, তাকে নিয়ে লেখা।
১১. কোনো ভিত্তিহীন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিত হলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার খন্ডন প্রকাশ করা।
১২. বিভিন্ন ইসলামী সফটওয়্যার নিয়ে রিভিউ লেখা ও লিংক শেয়ার করা।
১৩. বিভিন্ন ইসলামী বই নিয়ে রিভিউ লেখা। এবং স্বত্ত উন্মুক্ত হলে তার পিডিএফ আপলোড করে লিংক শেয়ার করা।

সোশাল কমিউনিটি সাইটের মাধ্যমে:


১.
ফেসবুকে বেশি বেশি ইসলামী গ্রুপ খুলে বন্ধু বান্ধবকে আহ্বান করা।
২. ইসলামী সাইট, আর্টিকেল, অডিও ও ভিডিও লিংক বেশি বেশি শেয়ার করা।
৩. ফেসবুকটুইটারে বেশি বেশি ইসলামী স্ট্যাটাস দেয়া।
৪. কুরআনের আয়াত, হাদীস বা স্কলারদের উক্তি স্ট্যাটাসে দেয়া।
৫. ইসলামী সাইটের ফ্যান পেজ খুলে মানুষকে আহ্বান করা।
৬. ইসলামী নোট লিখে বন্ধু-বান্ধবকে ট্যাগ করা।

ই-মেইল গ্রুপের মাধ্যমে:


১.
ইয়াহু গ্রুপস এ ইসলামী গ্রুপ খুলে ইসলামী আর্টিকেল পাঠানো।
২. গুগল গ্রুপস এ ইসলামী গ্রুপ খোলা।

Ranking ভালো এমন সাইটে ইসলামী সাইটের প্রচার করা:


ব্লগার ডট কম
, ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি যেসব সাইটের র‌্যাংকিং ভালো, সেগুলোতে যতবেশি সম্ভব ব্লগ লিখে বা লিংক শেয়ার করে ইসলামী সাইটের প্রচার করা।

বেশি ব্যবহৃত হয় এমন বুকমার্ক টুলে ইসলামী সাইট বুকমার্ক করা :


ডেলিসিয়াস
, এক্সমার্কসসহ বেশি ব্যবহৃত হয় এমন বুকমার্কিং টুল দিয়ে ইসলামী সাইটগুলোকে বুকমার্ক করলে সেগুলো অন্যান্য ভিজিটরের কাছেও দেখানো হয়। ফলে বড়ো রকম মার্কেটিং হয়।

রিডার/ফীড ইত্যাদিতে সাবস্ক্রাইব করা:


গুগল রিডার
, ফীডবার্ণার ইত্যাদির মাধ্যমে বিভিন্ন ইসলামী সাইটের আর.এস.এস ফীডে সাবস্ক্রাইব করা। এসব টুল দিয়ে সাব্সক্রাইব করা হলে অন্য ভিজিটরের কাছেও তা উপস্থাপিত হয়।

অডিও, ভিডিও শেয়ারিং সাইটের মাধ্যমে :


ইউটিউব
, ইস্নিপ্স সহ জনপ্রিয় অডিও ভিডিও শেয়ারিং সাইটে ইসলামী অডিও ভিডিও শেয়ার করলে সহজে খুব দ্রুত তা মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এ ক্ষেত্রে যা খুব বেশি প্রয়োজন, তা হলো, ফাইলের নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণটা যেন খুব অর্থপূর্ণ হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা। সাধারণত নাম ও বিবরণ পড়েই একজন ভিজিটর অডিও শুনেন বা ভিডিও দেখেন।

টেক্সট ও অডিও চ্যাটের মাধ্যমে:


বিভিন্ন চ্যাটরুম গুলোতে ইসলাম প্রচার করা যেতে পারে। ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে হবে। যখন যে বিষয়টি সামনে আসে, সে বিষয় সম্পর্কিত ইসলামী দিক-নির্দেশনা প্রকাশ করা অনেক কার্যকর হয়ে থাকে।


ইসলামী মাহফিল, সেমিনার বা আলোচনা সভার সরাসরি সম্প্রচার ও অডিও আপলোড:


বিভিন্ন ইসলামী আলোচনা সভা বা তাফসীর মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে
পলটক বা ইউস্ট্রীম ভালো সহযোগিতা করতে পারে। এরপর মাহফিল শেষ হলে তা ইস্নিপ্স বা অন্য কোথাও আপলোড করে লিংক শেয়ার করা যেতে পারে।

ধনী ও সম্পদশালী শ্রেণীর ইসলামের খিদমত :


এমন অনেক মানুষের কথা শোনা যায়, যারা ইসলামের জন্য কিছু করে যেতে চান। রাসূল স. বলেছেন,



মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল মৃত্যুর পরও বাকী থাকে (এবং এগুলোর সওয়াব আমলকারীকে পৌঁছানো হয়।) ১. সাদাকায়ে জারিয়া (এমন সাদাকা বা দান, যার সুফল অব্যাহত থাকে। যেমন, কোনো চাপকল দান করা বা পুকুর খনন করা, যার সুফল যুগ যুগ ধরে মানুষ পেয়ে থাকে, ফলে সওয়াবও অব্যাহত থাকে।) ২. উপকারী জ্ঞান (মানুষের কাছে উপকারী জ্ঞান বিলিয়ে যাওয়া, যার ফলে মৃত্যুর পরও তার জ্ঞানের মাধ্যমে অন্য মানুষের উপকার অব্যাহত থাকে।) ৩. সৎ সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করবে। (তিরমিযী:১৩৭৬)

এই হাদীসটির মূল বক্তব্য হলো, মৃত্যুর পর মূলত মানুষের সওয়াব অর্জনের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এমন কিছু যদি করে যাওয়া হয়, যার কারণে অন্যের উপকার হয়, সওয়াব লাভের কারণ হয়, তাহলে মৃত্যুর পরও সওয়াব অব্যাহত থাকে। যেমন কেউ মসজিদে কুরআন শরীফ দিল, যতদিন কুরআন শরীফটি পড়া হবে, ততদিন সে সওয়াব পেতে থাকবে।


এই হাদীসের ভিত্তিতে অনেকে মৃত্যুর পরের পাথেয় তৈরির জন্য ইসলামের বড় কোনো খিদমত করে যেতে চান। নানাজন নানাভাবে এ খিদমতে অংশগ্রহণ করেন। তবে বর্তমানে টেকনোলজিতে ইসলামের খিদমত করলে সেটা বড় রকম খিদমত হবে বলে মনে করি। নিম্নে বাংলা ভাষায় কয়েক ধরনের ইসলামের খিদমতের বিবরণ দেয়া হলো:


শক্তিশালী ওয়েবসাইট নির্মাণ:
বিভিন্ন ভাষায় অমুসলিম, নও মুসলিম ও সাধারণ মুসলিমদের জন্য প্রচুর পরিমাণ আর্টিকেল সমৃদ্ধ সাইট রয়েছে। বাংলায় এর বড়ো অভাব। বিশেষ করে এ ভাষায় এ্যাথিস্টদের অবদান বেড়ে যাওয়ায় অভাবটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কাজেই এমন একটি শক্তিশালী সাইটের খুব প্রয়োজন, যাতে মানুষ মুসলমান হওয়ার পূর্বে, মুসলমান হওয়ার পর প্রাথমিক স্টেজে ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে যে সকল সন্দেহ ও সমস্যায় পতিত হয়, সেগুলো সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা থাকবে।

উল্লেখ্য যে, বাংলা ভাষায় এ্যাথিস্টরা যা লিখেন, তার সবগুলোরই উত্তর দেয়া সম্ভব। বরং, অনেকগুলো তো উত্তর দেয়ারই যোগ্য না। অনেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে উত্তর দিচ্ছেন, লিখছেন। কিন্তু এখানে প্রয়োজন শক্তিশালী টিমওয়ার্কের, যার অভাব খুব বেশি। এর কারণ কিন্তু এ নয় যে, যোগ্য উত্তরদাতা আমাদের নেই। বরং, এর কারণ উত্তরদাতাদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন উত্তরদাতার অনুপস্থিতি। যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আর্থিক দৈন্যতা ও সময়ের অভাবে হয়ে থাকে।


যদি বড় বাজেটে এমন সাইট করার উদ্যোগ কেউ নেন, যার জন্য দিনরাত একদল গবেষক ও লেখক পরিশ্রম করে যাবেন, তাহলে নি:সন্দেহে তা একটি বিশাল খিদমত হবে। এবং আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে এ যুগে এটাই সবচেয়ে বড় সাদাকায়ে জারিয়া হবে (হাদীসের ভাষ্যমতে যার সওয়াব মৃত্যুর পরেও জারী থাকবে।)


সফটওয়্যার/ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ:
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় মুসলিম ডোনাররা ইসলামী বইগুলোকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। যদিও অন্য ধর্মাবলম্বীদের তৎপরতার তুলনায় মুসলমানদের অবস্থান খুবই দুর্বল। আর বাংলা ভাষায় তো তা নেই বললেই চলে। এর অনেকগুলো কারণ হতে পারে। উদ্যোক্তার অভাবও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। তারপরও যদি কোনো ইসলামপ্রিয় ব্যক্তি এরকম একটি প্রজেক্টের জন্য এগিয়ে আসেন, নি:সন্দেহে তা বাংলা ভাষায় ইসলামের অনেক বড় খিদমত বলে আল্লাহর কাছে গণ্য হবে ইনশা'আল্লাহ।

এ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলা ভাষা রচিত, অনূদিত ইসলামী বইগুলোকে ডিজিটাল করা হবে। কম্পোজকৃত টেক্সট ওয়েব এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট সাইটে আপলোড করা হবে। লেখক ও বইয়ের তালিকা হিসেবে বইয়ের সূচি থাকবে। যে কোনো বই ফ্রী পড়ার সুযোগ থাকবে। সাধারণ পাঠক থেকে শুরু করে লেখক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক সবাই এখানে নিজ নিজ গবেষণা চালিয়ে যেতে পারবেন। এ প্রজেক্টকে সফল করতে প্রয়োজনে বইগুলোর ওয়েব সত্ত্ব কিনে নেয়া যেতে পারে। পরে তা সর্ব সাধারণ মুসলমানদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। প্রজেক্টটার নাম দেয়া যেতে পারে BIE Library (Bengali Islamic Electronic Library).


(আরো আইডিয়া পরবর্তীতে যুক্ত হবে।)


ইসলামী সাইটের স্বত্ত্বাধারীদের সাথে ইসলামের দাওয়াতে কন্ট্রিবিউট করা:


আমরা অনেক ইসলামী সাইট ভিজিট করি, যার থেকে আমরা উপকৃত হই। কিন্তু কখনো কি আমরা সাইট ওনারদেরকে দু'চারটি কথা লিখে উৎসাহ দিই? আমরা বিভিন্ন উপায়ে ইসলামী সাইট ওনারদের সহযোগিতা করতে পারি।


১. সাইটের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাইট ওনারের কাছে উৎসাহ ব্যঞ্জক ই-মেইল করা।

২. একটু সময় ব্যয় করে সাইটের কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা ধরিয়ে দেয়া, এবং কোনো ভালো পরামর্শ থাকলে তা প্রকাশ করা।
৩. অনেকে মনে করেন, ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য প্রত্যেকের নিজস্ব সাইট থাকতেই হবে। এটা ভুল। বরং, এখন যেসব সাইট আছে, সেগুলোতে সাধ্যমত কন্ট্রিবিউট করতে পারি আমরা। যেমন, ইসলামী ফোরাম হলে, তা জমিয়ে রাখা। ইসলামী ব্লগ হলে, তাতে লেখা দেয়া। বা অন্য যে কোনো উপায়ে সহযোগিতা করা।
৪. বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে ইসলামী সাইটের লিংক শেয়ার করা। অনেক ইসলামী সাইট আছে যাদের মার্কেটিং দুর্বল হওয়ার কারণে ভিজিটর সংখ্যা খুবই নগন্য। এসব সাইটের মার্কেটিং করাও অনেক বড়ো খিদমত হতে পারে।
৫. ইসলামী সাইটগুলো ঠিকমতো চলার জন্য এ্যাড সংগ্রহ করে দেয়া। কিংবা, ফেসবুক বা গুগলের মতো সাইটে এ্যাড দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া।
৬. ই-মেইলের সিগনেচারে বা বিভিন্ন সাইটে নিজের পেইজে ইসলামী সাইটের লিংক রাখা। ঘরে-বাইরে বা নিজের লাইব্রেরীতে ইসলামী সাইটের নামসমৃদ্ধ স্টিকার লাগানো।

এছাড়া আরো বিভিন্নভাবে ইন্টারনেটে ইসলাম প্রচার করা যেতে পারে। আমরা যে যেখানে যেই অবস্থায় আছি, সেই অবস্থায়ই এই মহান কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারি।


যে কোনো কাজে একাকী প্রচেষ্টার চেয়ে টিমওয়ার্ক বেশি কার্যকরী। ইসলামের দাওয়াতের কাজেও কয়েকজন মিলে গ্রুপ করে নিলে কাজটা বেশি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ হয়। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন। আমীন।


এই পোষ্টটি আরো আপডেট করা হবে। আরো কোনো আইডিয়া থাকলে মন্তব্যের ঘরে তা শেয়ার করতে পারেন। আল্লাহ সকলকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
من دعا إلى هدى كان له من الأجر مثل أجور من تبعه لا ينقص ذلك من أجورهم شيئا ومن دعا إلى ضلالة كان عليه من الإثم مثل آثام من تبعه لا ينقص ذلك من آثامهم شيئا ‌ فوالله لأن يهدى بك رجل واحد خير لك من حمر النعم وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَٰئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ إذا مات الإنسان انقطع عمله إلا من ثلاث صدقة جارية وعلم ينتفع به وولد صالح يدعو له

পূর্বে প্রকাশিত : 

***দশটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়***

দশটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়
ইমাম ইবনুল কায়্যিম

১. এমন ইলম বা জ্ঞান যা কর্মে সম্পাদন(আমল) করা হয়নি।
২. এমন কাজ যা না আন্তরিকতার সাথে করা হয়েছে আর না অন্যদের ভাল কাজের অনুসরণ করে করা হয়েছে।
৩. টাকা সঞ্চয় করা হয়েছে কিন্তু যা থেকে মালিক বেঁচে থাকা অবস্থায় না উপভোগ করতে পারে আর না এই টাকা পরকালে তার জন্যে কোন পুরস্কার বয়ে আনে।
৪. এমন হৃদয় যেখানে আল্লাহর জন্য ভালভাসা ও আন্তরিকতা অনুপস্থিত এবং কিভাবে আরো আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া যায় তার অনুসন্ধান করে না।
৫. এমন শরীর যা আল্লাহর আনুগত্য করে না এবং আল্লাহ যা করতে বলেছেন সে অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করে না।
৬. আল্লাহকে ভালোবাসা এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা সাধনা করা হয় কিন্তু আল্লাহ যেভাবে করতে আদেশ করেছেন সেইভাবে করা হয় না।
৭. এমন সময় ব্যয় করা হয়েছে যেখানে না পাপকর্মের জন্য তওবা করা হয়েছে আর না ভাল কাজের সুযোগ অনুসন্ধান করা হয়েছে।
৮. এমন মন যা অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে।
৯. এমন ব্যক্তিদের আনুগত্য করা যারা না তাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয় আর না তার জীবনে কোন কল্যাণ বয়ে আনে।
১০. এমন কাউকে ভয় করা এবং তার নিকট কোন কিছু পাওয়ার আশা প্রকাশ করা যার মালিকানা ও কর্তৃত্ত্ব আল্লাহর হাতে আর সেই ব্যক্তি না কল্যাণ বয়ে আনতে পারে, না নিজের কোন ক্ষতি করতে পারে, না মৃত্যু দিতে পারে, না জীবন দিতে পারে আর না পরকালে সে নিজেকে পুনরুত্থান করতে পারে।


এই বিষয়গুলোর মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে হৃদয়ের অপচয় এবং সময়ের অপচয়।
হৃদয়ের অপচয় হয়ে থাকে পরকালের চেয়ে এই পার্থিব জীবনকে বেশী প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে এবং সময়ের অপচয় হয়ে থাকে অবিরাম ইচ্ছা পোষণ করার মাধ্যমে (অর্থাৎ একটি ইচ্ছা পূরণ হলে আবার আরেকটি আবার সেটি পূরণ হলে আবার অন্যটি আর এভাবে চলতেই থাকে)। নিজের প্রবৃত্তি ইচ্ছার অনুসরণ এবং অবিরাম ইচ্ছা পোষণ ধ্বংস বয়ে আনে আর সকল প্রকার কল্যাণ নিহিত রয়েছে সঠিক পথ অনুসরণ করার মাধ্যমে এবং নিজেকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে(অর্থাৎ পরকালে আল্লাহর সামনে আল্লাহকে সন্তুষ্ট রেখে তার সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ)।

বিষয়টি কতইনা অদ্ভুত যে, আল্লাহর একজন বান্দাহ তার পার্থিব কোন সমস্যার কারণে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করে অথচ অজ্ঞতা, উপেক্ষা, নিজের প্রবৃত্তির পূর্ণ অনুসরণ এবং বিদআতে লিপ্ত হয়ে তার অন্তর মরে যাওয়ার আগে হৃদয়ের আরোগ্যের জন্য আল্লাহর নিকট কখনই সাহায্য কামনা করে না। প্রকৃতপক্ষে, যখন কারো হৃদয় মরে যায় তখন সে আর কখনো তার পাপ কর্মের অনুভূতি বা প্রভাব অনুভব করে না(অর্থাৎ পাপকর্ম করলেও তার কাছে তা কিছুই মনে হয় না, কোন অনুশোচনাও জাগে না)।

***মানব জীবনে নিয়তের গুরুত্ব***

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্যে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউই ইবাদত পাওয়ার যোগ্য নয় এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল। উত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী, উত্তম পথ হচ্ছে রাসূল ﷺ এর পথ এবং নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে দ্বীন ইসলামের মধ্যে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়(বিদআহ), নিশ্চয়ই প্রত্যেক বিদআহ’ই হচ্ছে পথভ্রষ্টতা আর পথভ্রষ্টতার গন্তব্যস্থল জাহান্নাম।

মানব জীবনে নিয়তের গুরুত্ব অনেক। রাসূল ﷺ বলেন,


প্রত্যেকটি আমল(কর্ম) নিয়তের উপর নির্ভরশীল বা সকল কাজের ফলাফল নিয়ত অনুযায়ী পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)

আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষ নিয়ত বলতে সাদা চোখে নামাজের পূর্বে নাওয়াতু আন... বা রোজার সময় নিয়তের কথা বুঝে থাকেন। অর্থাৎ নিয়ত বলতে অধিকাংশ মানুষ মোটামুটিভাবে এই দৃশ্য দুটি বুঝে থাকেন। যদিও এই দুটি নিয়মও সহীহ নিয়তের অন্তর্ভূক্ত না অর্থাৎ রাসূল ﷺ এভাবে মুখে উচ্চারণ করে নিয়তের শিক্ষা দেননি। নিয়তের বিষয়টিকে আমরা ভাগ করে ফেলেছি আর ভুল শিক্ষার মাধ্যমে শুধু দুইটি বিষয়ের উপর আবদ্ধ করে ফেলেছি আর জীবনের বাকী বিষয় সমূহকে নিয়তের বাইরে রেখে দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে মুসলামানদের প্রত্যেকটি কর্মের ফল হবে তার নিয়ত অনুযায়ী। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যে নিয়ত অনুযায়ী যে কাজটি করবে সে ব্যক্তি সে অনুযায়ী ফলাফল পাবে। বিশুদ্ধ নিয়ত হতে হবে সকল কথা ও কাজের মধ্যে। তাহলেই সেটি ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে আর সেই ইবাদত আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করবে।

উদাহরণ স্বরুপ: আমি এই লেখাটি লিখছি, এই লেখাটিরও একটি নিয়ত আছে, আর আমি সেই নিয়ত অনুযায়ী ফলাফল পাব। বিষয়টি আরেকটু খুলে বলি, আল্লাহ তাআলা বলেছেন সৎ কাজ করতে এবং সৎ কাজের আদেশ করতে, আমি লেখার শুরুতে এই নিয়তটি করে লেখাটি শুরু করেছি। যার ফলশ্রুতিতে আমার এই লেখাটাও একটি ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ। আমি যে নিয়ত করেছি এর জন্যে কিন্তু আমাকে মুখে বলতে হয়নি, আমি মনে মনে অন্তর দিয়ে সংকল্প করেছি আর আল্লাহর নিকট সাহায্য চেয়েছি আমার নিয়ত যেন সহীহ হয়। এখন, লেখার শুরুতে যদি আমি এই নিয়তটি না করতাম অথবা অন্য একটি নিয়তে লিখতাম যেমন: লোকে আমাকে এই লেখা পড়ে বাহবা দিবে বা আমি মনে মনে মানুষের প্রশংসা পাওয়ার আশা করে লিখলাম তাহলে এই লেখাটি, এই লেখাটির পেছনে আমার সময় ব্যয় হবে তার সবই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমার এ লেখার বিনিময়ে আমি আল্লাহর নিকট থেকে কোন পুরস্কার পাব না।


এরপর আসি খাওয়ার ব্যাপারে! অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন না, খাওয়ার আবার নিয়ত কি! বিষয়টি একটু খুলে বলি ইনশাল্লাহ বুঝতে সক্ষম হবেন। আপনি যখন খেতে যাবেন তখন আপনি খাবেন রাসূল ﷺ এর শেখানো নিয়মে। খাওয়ার শুরুতেই আপনি নিয়ত করবেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে সৎ উপায়ে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে এই খাবার খাওয়ার তৌফিক দিয়েছেন, আমি আল্লাহ তাআলার এই নিয়ামত খেয়ে শক্তি অর্জন করব আর এই শক্তি দিয়ে আরো বেশী বেশী করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করব। এরপর বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করলেন, আপনার প্লেটের নিকটবর্তী স্থান থেকে খেলেন, খাবারের অপচয় করলেন না তাহলে আপনার এই খাওয়াটাও একটা ইবাদত হয়ে গেল।


এরপর ধরুন, এক গ্লাস পানি খাবেন। পানি খাওয়ার আগে নিয়ত করলেন, আমি মহান আল্লাহর এই নিয়ামত পান করে আল্লাহ তাআলার ইবাদত আরো বেশী বেশী করে করবো, আমি আরো বেশী বেশী আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবো। এটাও ইনশাল্লাহ ইবাদতে পরিণত হয়ে যাবে।


এরপর ধরুন, আপনি প্রাকৃতিক কাজ করতে টয়লেটে গেলেন, টয়লেটে যাওয়ার আগে বাম পা আগে দিলেন, মনে মনে বললেন, আল্লাহুম্মা ইন্নি আওযুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবাইছ এরপর যখন বের হবেন তখন ডান পা আগে দিয়ে বের হয়ে বললেন, গুফরানাকা। এভাবে আপনার এই প্রাকৃতিক কাজটাও একটি ইবাদত হয়ে গেল!


আবার ধরুন, আপনি জানাজার নামাজ পড়তে যাবেন। এখান আপনার বন্ধু আপনাকে বললো, চল অমুক মারা গিয়েছে জানাজার নামাজটি পড়ে আসি। আপনি আপনার বন্ধুর কথামতো চলে গেলেন, কোন নিয়ত করলেন না, জানাজার নামাজ থেকে যে সওয়াবটুকু পাওয়ার কথা ছিল আপনি সেটা থেকে বঞ্চিত হলেন। কারণ, আপনি জানাজার নামাজ পড়তে গিয়েছেন আপনার বন্ধু বলেছিল বলে, আর এইটাই ছিল আপনার নিয়ত! কিন্তু আপনি যদি জানাজার নামাজে যাওয়া আগে এই নিয়ত করতেন যে, রাসূল ﷺ বলেছেন যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ পড়ল সে এক কিরাত* পরিমাণ সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি কবর পর্যন্ত যাবে, মৃতকে কবর দেওয়ার পর তার আত্মীয়ের সাথে অবস্থান করবে সে আরো এক কিরাত পরিমাণ সওয়াব পাবে। তাহলে আপনি আপনার নিয়ত অনুযায়ী এই সওয়াবটুকু পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

*কিরাত মানে একটি উহুদ পাহাড়ের সম পরিমাণ সওয়াব।

এরপর ধরুন, আপনি মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়ছেন, কিন্তু আপনি আশা করছেন লোকে আপনাকে নামাজি বলুক, ভালো বলুক তাহলে আপনি যতই মুখে উচ্চারণ করে নাওয়াতু আন বলেন না কেন সেটা কোন নিয়তই হবে না। কিন্তু আপনি যদি এভাবে নিয়ত করতেন যে, আমি আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী, রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ অনুযায়ী এখান অমুক ওয়াক্তের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছি এরপর মসজিদে যেয়ে আল্লাহু আকবর বলে নামাজে দাড়িয়ে গেলেন, আর এভাবে আপনার নামাজটি ফলপ্রসু হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।


রমাদান মাসে রোজার সময়ও বিষয়টি এমন। আপনি রোজা রাখেন কেননা আপনার পরিবারের আর সবাই রাখে তাই, আপনার বন্ধুরা রাখে তাই, আর এটাই আপনার নিয়ত যদিও মুখে হাজারবার নাওয়াতু আন বলেন না কেন। কিন্তু আপনি যদি এভাবে নিয়ত করেন, যেমন, রোজা একটি ফরজ ইবাদত, আল্লাহর তাআলা এই রোজা আমাদের জন্যে ফরজ করেছেন যাতে করে আমরা আরো বেশী তাকওয়া সম্পন্ন হতে পারি, এরপর আপনি রোজা রাখবেন রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ অনুযায়ী, এই নিয়ত নিয়ে যখন আপনি প্রতিদিন সাহরী খেতে উঠবেন তখনি আপানর রোজার নিয়ত হয়ে যাবে, মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত বলার প্রয়োজন হবে না। আর এভাবেই আপনার রোজাটি ফলপ্রসু হবে ইনশাল্লাহ।


আপনি ইলম অর্জন করছেন শুধু জানার স্বার্থে অর্থাৎ জানার জন্যে জানা, অন্যদের সাথে তর্ক করার স্বার্থে, আপনি জানেন অন্যেরা জানেনা তাদের হেয় করবেন এই স্বার্থে তাহলে এই ইলম আপনার বিন্দুমাত্র উপকার করবে না। কিন্তু আপনি যদি ইলম অর্জন করেন আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিয়তে, আরো বেশী আল্লাহ ও তাঁর রাসূলে আনুগত্য করার স্বার্থে, ইলম অনুযায়ী আমল করবেন এই স্বার্থে, মানুষকে হক কথার আদেশ দিবেন এই স্বার্থে তাহলে আপনার ইলম অর্জন একটি ইবাদত হবে, ইনশাল্লাহ।


এভাবে আপনার জীবনের প্রত্যেকটি কথা, কাজ ও চিন্তাকে নিয়ত করে সম্পাদন করুন। নীচের বিষয়গুলোকে মনে রাখুনঃ

১. আপনি যে অর্থ উপার্জন করছেন সেটি কি হালাল? সে অর্থ উপার্জন কি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে করছেন?
২. আপনি যেভাবে পড়ালেখা করেছেন সেটাকি ঠিক ছিল, পড়ালেখা করার নিয়ত কি ছিল? আপনি যে আপনার ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করাচ্ছেন, তার পিছনে কি নিয়ত কাজ করছে? শুধু কি দুনিয়ার মোহ কাজ করছে?
৩. আপনি একটি কাজকে ইবাদত বলে জানেন, আপনি কি জেনে নিয়েছেন কাজটি করতে আল্লাহ তাআলা আদেশ করেছেন কিনা? আপনি কি জেনে নিয়েছেন রাসূল ﷺ কাজটি কিভাবে সম্পাদন করতেন? আপনি কি জেনে নিয়েছেন সাহাবীরা কিভাবে ইসলামকে বুঝতেন?
৪. আপনার শ্রম, সময়, অর্থ কি নিয়তে খরচ করছেন? এতে কি আল্লাহর সন্তুষ্টি আছে? রাসূল ﷺ কি কাজটি এভাবে করে দেখিয়েছেন?

আমরা দু’একটি কাজ বাদে প্রত্যেকটি কাজ থেকে নিয়তকে বিদায় করে দিয়েছি আর যার কারণে রাসূল ﷺ এর সুন্নাহও আমাদের নিকট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, বিদআহ আমাদের ঘিরে ধরেছে। দেখা যায়, অনেক পরিবারের সদস্য মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়ছে, মহিলা সদস্যরা পর্দা করছেন কিন্তু জীবনের অন্যান্য কাজ সম্পাদন করতে যেয়ে তারা কোন নিয়তই করছেন না। কারণ, নিয়ত করলেই মনে রাখতে হবে আল্লাহর আদেশের কথা, আল্লাহর কথার আনুগত্যের কথা, রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ মোতাবেক কাজ করার কথা।


দৈহিক, মানসিক, শারীরীক সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্যে। আল্লাহর তাআলার শান্তি, রহমত ও বরকত রাসূল ﷺ এবং তারা পরিবারের উপর, তার সাহাবাদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদেরকে যারা অনুসরণ করবে তাদের অর্পিত হোক আমীন।
إﻧﻤﺎ اﻷﻋﻤﺎل ﺑﺎﻟﻨﻴﺎ ت

মহাশুন্য বিজয়


মহাশুন্য বিজয় এ প্রসঙ্গে আল কুরআনের তিনটি আয়াতের প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন. একটি আয়াতে সুষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে এক্ষেত্রে মানুষ কি সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং পারবে। অপর দুটি আয়াতে সেই সময়ের মক্কার অবিশ্বাসীদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, তারা যদি আকাশে উঠতে পারত তাহলে সেখানকার দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়ত. এখানে এমন একটি বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে যা ঐ অবিশ্বাসীদের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব ছিল না.

প্রথমত আয়াতটি হচ্ছে,




يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
O company of jinn and men! If you have the power to escape across the bounds of the earth and the heavens, then escape! You shall not escape, for it requires great power.

হে জ্বিন ও মানবজাতি! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পারো তবে অতিক্রম কর, কিন্তু তোমরা তা পারবে না শক্তি ব্যতিরকে.(সুরা আর রাহ মান-৩৩)


এ তরজমার কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রয়োজন. প্রথমত 'যদি' শব্দটি দ্বারা প্রস্তাবনার সফলতা কোন সম্ভব বা অসম্ভব অবস্থার নির্ভর করে তা বুঝায়. কিন্তু আরবী ভাষায় ঐ অবস্থার ক্ষেত্রে এমন একটি ব্যঞ্জনা আনা সম্ভব যা অনেক বেশি সুষ্পষ্ট. সম্ভাবতা প্রকাশের জন্য إِذ (ইযা) , সম্পাদনযোগ্য কাজের জন্য إِن (ইন) এবং সম্পাদনের অযোগ্য কাজের জন্য َلَوْ (লাও) শব্দ প্রয়োগ করা হয়. আলোচ্য আয়াতে إِن (ইন) শব্দ ব্যবহৃত হওয়ায় কাজটি সম্পাদনযোগ্য বলে বুঝা যাচ্ছে. অর্থাৎ মানুষের পক্ষে আকাশ ও পৃথিবীর সীমানা অতিক্রম প্রকৃতপক্ষে সম্ভব.


দ্বিতীয়ত, আল্লাহ জ্বিন ও মানব্জাতিকে সম্বোধন করেছেন কোন কাল্পনিক প্রাণীকে নয়.


তৃতীয়ত ক্রিয়াপদ نفُذُ (নাফাজা) ও তার পরে সন্মন্ধযুক্ত পদ مِن (মিন) তার তরজমা করা হয়েছে 'অতিক্রম করা'. কাজী মিরস্কির অভিধান অনুসারে পদটির অর্থ 'কোন বস্তুর ভিতরে প্রবেশ করে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসা' (যেমন তীর কোন বস্তুর একদিকে দিয়ে ঢুকে অপর দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়). সুতরাং গভীর অনুপ্রবেশ এবং অনুপ্রবিষ্ট এলাকার বাইরে যাওয়া বুঝা যাচ্ছে.


চতুর্থত, মানুষের ঐ কাজের জন্য যে শক্তির سُلْطَان (সুলতান) প্রয়োজন হবে তা সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে আসবে বলে মনে হয়. কারণ ঠিক পরের আয়াতে আল্লাহর রহমত উপলব্ধি করার আহ্বান করা হয়েছে.


সুতরাং মানুষ যে একদিন মহাশুন্য জয় করবে এ আয়াতে তার সুষ্পষ্ট আভাস রয়েছে. লক্ষণীয় যে, আয়াতে শুধু আকাশ জয় নয়, পৃথিবী অতিক্রম অর্থাৎ পাতাল জয়েরও আভাস আছে.


অপর দুটি আয়াত হচ্ছে সুরা হিজরের ১৪ ও ১৫ আয়াত. প্রসঙ্গ থেকে বুঝা যায় আল্লাহ এখানে মক্কার অবিশ্বাসীদের কথা বলেছেন-




لَقَالُوٓا۟ إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَرُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌۭ مَّسْحُورُونَ
وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًۭا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ فَظَلُّوا۟ فِيهِ يَعْرُجُونَ

If We were even to open for them a way to the heaven, and they could continually climb up to it in broad daylight; They would still have said; 'Surely our eyes have been dazzled; rather, we have been enchanted.



যদি তাদের জন্য আকাশের এক দুয়ার খুলে দেই এবং তারা দিনের বেলা তাতে আরোহণ করে, তবুও তারা বলবে আমাদের দৃষ্টি মোহাবিষ্ট হয়েছে, নতুবা আমরা এক যাদুগ্রস্থ সম্প্রদায়.



ঐ কথায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে বিস্ময় প্রকাশ হয়েছে. এমন দৃশ্য মানুষ যা কল্পনাও করেনি.


লক্ষ্য করা যেতে পারে, বাক্যটি 'যদি' আরবী َلَوْ (লাও), দিয়ে শুরু করা হয়েছে. অর্থাৎ বাক্যের প্রস্তাবনা এমন শর্তের অধীন করা হয়েছে যা পুরণ করা আয়াতের উল্লেখিত লোকদের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়.


মহাশুন্য বিজয় সম্পর্কিত আয়াতে আমরা দেখেছি, আল্লাহর দেয়া বুদ্ধিমত্তা ও আবিস্কার ক্ষমতার বলে মানুষ একদিন মহাশুন্য জয় করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে. কিন্তু এ আয়াতে এমন একটি দৃশ্যের কথা বলা হয়েছে যা সেই সময়ের মক্কার অবিশ্বাসী লোকেরা কখনই দেখতে পাবে না. কিন্তু এ দৃশ্য অন্যদের পক্ষে দেখা সম্ভব এবং দেখার পর তাদের (নভোচারী মানুষ) মনে যে অনুভূতির সৃষ্টি হবে এ আয়াতে তার বর্ণনা আছে- তাদের দৃষ্টি বিভ্রান্ত হবে, মাতাল অবস্থায় যেমন হয়, যাদুগ্রস্থ অবস্থায় যেমন হয়.


১৯৬১ সালে প্রথমবার নভোযানে মহাশুন্যে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে আসার পর থেকে নভোচারীগণ এ যাবত ঠিক ঐ অভিজ্ঞতাই লাভ করেছেন এবং অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তারা ঠিক ঐ কথাই বলেছেন; একথা এখন সর্বজনবিদিত যে, পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপর থেকে দেখলে আকাশ আর নীল রঙ্গের দেখা যায় না. কারণ, বায়ুমন্ডলে সূর্য্যের আলো শুষে নেয়ার কারণে তার নীচের থেকে দেখলে আকাশের রং নীল দেখা যায়. পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের পরে উঠে মানুষ আকাশকে কালো দেখতে পায় এবং বায়ুমন্ডল সূর্য্যের আলো শুষে নেয়ার কারণে পৃথিবীকে নীল রঙ্গের আবৃত্ত অবস্থায় দেখতে পায়. চাঁদের কোন বায়ুমন্ডল না থাকায় ঐ অবস্থায় কালো আকাশের পটভূমিতে চাঁদকে তার নিজস্ব রঙ্গেই দেখা যায়. নভোচারী মানুষের চোখে এ দৃশ্য সম্পুর্ণ অভিনব, অভূতপুর্ব.


এক্ষেত্রে আধুনিক কালের বিজ্ঞানের তথ্যের সাথে কুরআনের বর্ণনা মিলিয়ে দেখলে বিস্ময়ে অভিভূত ও হতবাক হয়ে যেতে হয়. সুতরাং কোরআনের বর্ণনা কোনমতেই ১৪০০ বছর আগের একজন মানুষের বর্ণনা হতে পারে না.


(তথ্যসুত্র-লা বাইবেল, লা কুরআন য়েট লা সাইন্স - ডাঃ মরিস বুকাইল)

মহামূল্যবান উপদেশ

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
পাঁচটি বস্তুকে পাঁচটি বস্তুর পূর্বে মহামূল্যবান মনে করো;
1. বার্ধক্যের পূর্বে তোমার যৌবনকালকে,
2. রুগ্ন হয়ে যাবার পূর্বে তোমার সুস্থতাকে,
3. দরিদ্র হয়ে যাবার পূর্বে তোমার স্বচ্ছলতাকে
4. ব্যস্ততা আসার পূর্বে তোমার অবকাশকে, এবং
5. মৃত্যূ আসার পূর্বে তোমার জীবনকালকে
[মিশকাত]
রাহে আমল ২য় খন্ড বিষয়-হাদীস ৩৭৫

বিভিন্ন ধরনের ভয় থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন, ভয়হীন থাকুন।



আমরা জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে থাকি। ভয়টাকে যে জিনিসটা দুর করতে পারে সেটা হচ্ছে কাজ।

একবার একদল আমেরিকান মেরিন সেনাদের সুইমিং স্কিল টেস্ট করার জন্য ৬ ফুট উপর থেকে জলে লাফিয়ে পরার জন্য বলা হয়েছিল, কিন্তু অধিকাংশ মেরিন সেনা ভয় পাচ্ছিলেন। একজন প্রশিক্ষক ব্যাপারটা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিলেন, পরবর্তীতে তাদেরকে ধাক্কা মেরে জলে ফেলা হয়েছিল।

কালক্ষেপন না করে শুধু মাত্র জলে লাফিয়ে পড়লেই সব ভয় দুর হয়ে যেত, কিন্তু বিলম্ব এই অনিশ্চয়তাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। ঠিক এই রকমই আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সময় ভয়কে প্রাধান্য দেয়ার কারনে এবং "কাজ" না করার কারনে অনেক সুযোগ এবং সময় নষ্ট করেছি। এরকমই কিছু ভয় থেকে কিভাবে নিজেকে কাজের মাধ্যমে জয় করতে পারবেন তা নিয়ে লিখছি, আশাকরি আপনার ব্যক্তিগত জীবনে এটা কাজে দেবে।


ভয়ঃ নিজেকে ছোট, অসুন্দর বা হীনমন্যভাবার ভয়।
কাজঃ চুল কেটে ফেলুন, সুন্দর করে আচরান, সেভ করুন। সুন্দর পরিস্কার পোষাক ইস্ত্রি করে পরুন। এজন্য যে পোষাক দামী হতে হবে তা কিন্তু নয়! আপনার যে পোশাকই থাকুকনা কেন, তা যেন অবশ্যই পরিস্কার হয়।

ভয়ঃ পরীক্ষায় ফেল করার ভয়।
কাজঃ দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে পড়ুন। সময়কে কাজে লাগান। মনে রাখবেন "প্রাকটিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট"।

ভয়ঃ গুরুত্বপূর্ন গ্রাহক হারানো ভয়।
কাজঃ সেবার মান আরও বৃদ্ধি করুন, গ্রাহকের সাথে কথা বলুন।

ভয়ঃ বাস, মটর সাইকেল কিংবা প্রাইভেটকারের সাথে আঘাত পাওয়ার ভয়।
কাজঃ রাস্তায় দেখে শুনে পথ চলুন।

ভয়ঃ অন্যে কি ভাববে তার ভয়।
কাজঃ মনে রাখবেন অন্যরাও আপনারই মতো মানুষ। কাজটি সঠিক হলে করে যান।

ভয়ঃ অন্যের সমালোচনার ভয়।
কাজঃ গুরুত্বপূর্ন কাজে সমালোচনা শুনতে হবে। সফল ব্যক্তিরাও এর ব্যতিক্রম নয়। আপনি আপনার কাজটি পূর্ন মনযোগ সহকারে করুন, কথা শুনবেন কিন্তু আত্নস্থ করবেন না। আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার কাজটি সঠিক কিনা। আপনার কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আহরন করুন। আপনার লক্ষ্য থেকে পিছপা হবেন না। আপনার স্বপ্নকে ভেঙ্গে যেতে দেবেন না। অসফল মানুষদের মতো আচরন করবেন না। মনে রাখবেন, মানুষ সফলতাকে পছন্দ করে, কিন্তু সফল ব্যক্তিদের ঘৃনা করে।

ভয়ঃ বাড়ী করার ভয়।
কাজঃ চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন করুন।

ভয়ঃ মানষিক অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার ভয়।
কাজঃ সামর্থ অনুসারে অন্যদেরকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করুন। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।

Thursday, April 22, 2010

Magical Eye

                                           Magical Eye

~~~~45 things a girl wants but wont ask for~~~~


45 things a girl wants but wont ask for:
1. Touch her waist.

2. Actually talk to her.

3. Share secrets with her.

4. Give her your jacket.

5. Kiss her slowly.

Are you remembering this?



6. Hug her.

7. Hold her.

8. Laugh with her.

9. Invite her somewhere.

10. Hangout with her and your friends together.


KEEP READING



11. Smile with her.

12. Take pictures with her.

13. Pull her onto your lap.

14. When she says she loves you more, deny it. Fight back.

15. When her friends say i love her more than you, deny it. fight back and
hug her tight so she can't get to her friends. it makes her feel loved.


Are you thinking of someone?


16. Always hug her and say I love you whenever you see her.

17. Kiss her unexpectedly.

18. Hug her from behind around the waist.

19. Tell her she's beautiful.

20. Tell her the way you feel about her.


One last thing you need to do to show her you actually do mean it.


21. Open doors for her, walk her to her car- it makes her feel protected,
plus it never hurts to act like a gentleman.

22. Tell her she's your everything - only if you mean it.

23. If it seems like there is something wrong, ask her- if she denies
something being wrong, it means SHE DOESN'T WANT TO TALK ABOUT IT- so just
hug her

24. Make her feel loved.

25-kiss her in front of OTHER girls you know!!!!*

KEEP READING!!


26-don't lie to HER.*

27-DON'T cheat on her.*

28-take her ANYWHERE she wants

29-txt messege or call her in the morning and tell her have a good day at
work {or school}, and how much you MISS her.

30-be there for her when ever she needs you, & even when she doesn't need
you, just be there so she'll know that she can ALWAYS count on you.*


ARE YOU STILL READING THIS? YOU BETTER BECAUSE, IT'S IMPORTANT



31. Hold her close when she's cold so she can hold YOU too.

32. When you are ALONE hold her close and kiss her.*

33. Kiss her on the CHEEK; (it will give her the hint that you want to kiss
her).*

34. While in the movies, put your arm around her and then she will
automatically put her head on your shoulder, then lean in and tilt her chin
up and kiss her LIGHTLY.

35. Dont EVER tell her to leave even jokingly or act like you're mad. If
shes upset, comfort her.


REMEMBER ALL THESE THINGS WHEN YOU ARE WITH HER NEXT



36. When people DISS her, stand up for her.*

37. Look deep into her EYES and tell her you love her.*

38. Lay down under the STARS and put her head on your chest so she can
listen to the steady beat of your heart, Link your fingers together while
you whisper to her as she rests her eyes and listens to you.

39. When walking next to each other grab her HAND.*

40. When you hug her HOLD her in your arms as long as possible*


MAKE SURE SHE KNOWS SHES LOVED




41. Call or text her at night to wish her SWEET DREAMS*

42. COMFORT her when she cries and wipe away her tears.*

43. Take her for LONG walks at night.

44. ALWAYS Remind her how much you love her.*

45.sit on top of her and tell her how much u love her and then bend down to
her face and kiss her while sitting on her.

you'll never know when she needs just a lil more love


HIT THANKS

.....:::::Best Hand Painting Art Ever:::::.....

HASAN=MAHMUD=LIMON

..::Best Hand Painting Art Ever::..
Body painting is a type of art in which paint is applied to a part of skin. It is considered one of the ancient types of art. Unlike tattoos, body painting is temporary. Lasting for just few hours or ion some cases a few weeks. Hand painting art is the application of make-up or paint on to the hands to look like any object or mostly to depict animals.

Islamic Names With Meanings for boys and girls

A

Aban - Old Arabic name
Abbas - Description of a lion
Abbud - Worshipper
Abbudin - Worshippers
Abdul, Abdel - Servant (of Allah)
Abdul-Alim - Servant of the Omniscient
Abdul-Aliyy - Servant of the Most High
Abdul-Azim - Servant of the Mighty
Abdul-Aziz - Servant of the Powerful One
Abdul-Bari - Servant of the Creator
Abdul-Basit - Servant of the Extender
Abdul-Fattah - Servant of the Opener (of the gates of sustenance)
Abdul-Ghaffar, Abdul-Ghafur - Servant of the Forgiver
Abdul-Hadi - Servant of the Guide
Abdul-Hafiz - Servant of the Protector
Abdul-Hakam - Servant of the Arbitrator
Abdul-Hakim - Servant of the Wise One
Abdul-Halim - Servant of the Mild, Patient One
Abdul-Hamid - Servant of the Praised One
Abdul-Haqq - Servant of the Truth
Abdul-Hasib - Servant of the Respected, Esteemed
Abdul-Jabbar - Servant of the Mighty
Abdul-Jalil - Servant of the Great, Revered One
Abdul-Karim - Servant of the Noble, Generous One
Abdul-Khaliq - Servant of the Creator
Abdul-Latif - Servant of the Kind One
Abdul-Malik - Servant of the Master (or King)
Abdul-Majid - Servant of the Glorious One
Abdul-Matin - Servant of the Firm, Strong
Abdul-Muhaimin - Servant of the Supervising, the Guardian, the Protector
Abdul-Mu'izz - Servant of the Giver of Might and Glory
Abdul-Mujib - Servant of the Responder
Abdul-Muta'al - Servant of the Most High
Abdul-Nasser - Servant of the Victorious One
Abdul-Nasir - Servant of the Helper, Protector
Abdul-Qadir - Servant of the Capable, Powerful
Abdul-Qahhar - Servant of the Subduer, the Almighty
Abdul-Quddus - Servant of the Most Holy
Abdul-Rafi - Servant of the One Who Raises, Elevates (intellect, esteem)
Abdul-Rahim - Servant of the Most Compassionate One
Abdul-Rahman - Servant of the Merciful One
Abdul-Rashid - Servant of the Rightly Guided One
Abdul-Ra'uf - Servant of the Most Merciful
Abdul-Razzaq - Servant of the Maintainer, the Provider
Abdul-Sabur - Servant of the Patient
Abdul-Salam - Servant of the Peace
Abdul-Samad - Servant of the Eternal
Abdul-Sami - Servant of the All-Hearing
Abdul-Shakur - Servant of the Most Thankful
Abdul-Tawwab - Servant of the Forgiver
Abdul-Wadud - Servant of the Loving
Abdul-Wahhab - Servant of the Giver
Abdul-Wahid - Servant of the One
Abdullah - Servant of God
Abu Bakr - Name of one of Muhammad's companions
Abu al Khayr - One who does good
Adel - Just
Adham - Black
Adnan - Proper name
Afif, Afeef - Chaste, modest
Ahmad, Ahmed - Most highly adored, or most praised; variation of the name "Muhammad"
Akil - Intelligent, thoughtful, one who uses reason
Akram - Most generous
Ala' - Nobility
Aladdin, Ala' al din - Nobility of faith
Ali, Aliyy - The highest, greatest, excellent, noble
Alim - Wise or learned
Altair - The flying eagle; also refers to a first magnitude star in the constellation Lyra
Amid - General
Amin, Ameen - Faithful, trustworthy
Amir, Ameer - Prince
Amjad - More glorious
Ammar - Builder, constructor
Amr - Old Arabic name
Anis - Close friend
Anwar - Light
Arfan - Gratitude
Arif - Corporal; aquainted, knowledgable
Asad - Lion
Asadel - Most prosperous one
Ashraf - Most honorable
Asif - Forgiveness
Asim - Protector, defender
Aswad - Black
Ata - Gift
Atif - Compassionate, sympathetic
Awad - Reward, compensation
Ayman - Lucky; on the right
Ayyub, Ayoob - A Prophet's name
Aza - Comfort
Azhar - Most shining, luminous
Azeem, Azim - Defender, referring to one of God's ninety-nine qualities
Azzam - Determined, resolved



B

Badr - Full moon
Badr al Din - Full moon of the faith
Baha - Beautiful, magnificent
Baha al Din, Bahiyy al Din - Magnificence of the faith
Bahir - Dazzling, brilliant
Barakah - Blessing
Bashshar - Bringer of glad tidings
Basil - Brave
Bassam, Basim - Smiling
Bilal - Name of the Prophet's Muezzin
Bishr - Joy
Burhan - Proof



D

Dabir - Secretary
Da'ud, Dawud - Arabic form of "David", beloved; a Prophet's name
Dhul Fiqar - Name of the Prophet's sword
Diya al Din - Brightness of the faith



E

Emir - To command
Esam, Essam - Safeguard



F

Fadi - Redeemer
Fadil - Generous, honorable
Fahd, Fahad - Lynx
Faisal, Faysal - Decisive
Fakhir - Proud, excellent
Fakhiri, Fakhry - Honorary
Fakih - Legal expert; one who recites the Qu'ran
Farid, Fareed - Unique
Fariq, Fareeq - Lieutenant General
Faris - Horseman, knight
Faruq, Farooq - One who distinguishes truth from falsehood
Fath - Victory
Fatin, Fateen - Clever, smart
Fawwaz - Successful
Ferran - Baker
Fida - Redemption, sacrifice
Firas - Perspicacity
Fouad - Heart
Fudail - Excellent in character



G

Gamal, Gamali - Camel
Ghalib - Victor
Ghassan - Old Arabic name
Ghazi - Conqueror
Ghiyath - Succorer



H

Habib - Beloved
Hadi - Guiding to the right
Hakeem, Hakim - Wise, one of God's ninety-nine qualities
Hakem - Ruler, governor
Halim - Mild, gentle, patient
Hamal - Lamb
Hamdan - The praised one; variation of the name "Muhammad"
Hamid - The praised one; variation of the name "Muhammad"
Hamzah - Lion
Hanbal - Purity
Hani - Happy, delighted, content
Hanif - True believer
Harith - Ploughman, cultivator
Haroun, Harun - Arabic form of "Aaron"; lofty or exalted; A Prophet's name
Hashim - Broker, destroyer of evil; Hashim was a descendent of the Prophet Muhammad (pbuh)
Hassan - Beautiful, handsome
Hatim - Judge
Haytham - Young hawk
Hilal - Moon
Hilel - The new moon
Hisham - Generosity
Hud, Houd - A Prophet's name
Hudhayfah - Old Arabic name
Humam - Courageous, generous
Husain, Hussein - Little beauty; Hussein was a descendent of the Prophet Muhammad (pbuh)
Husam - Sword
Husam al Din - Sword of the faith
Husayn - Beautiful



I

Ibrahim - Father of a multitude; a Prophet's name (Abraham)
Idris - A Prophet's name
Ihsan - Beneficence
Imad - Support, pillar
Imad al Din - Pillar of the faith
Imran - A Prophet's name
Irfan - Thankfulness
Isa, Eisa - A Prophet's name (Jesus)
Isam, Issam - Safeguard
Ishaq - A Prophet's name
Isma'il - A Prophet's name
Izz al Din - Might of the faith



J

Jabbar - Mighty
Jabir - Consoler, Comforter
Jafar - Rivulet
Jalal - Glory of the faith
Jalil, Jaleel - Great, revered
Jamal - Beauty
Jamal al Din - Beauty of the faith
Jamil, Jameel - Beautiful
Jawad - Open-handed, generous
Jawhar - Jewel, essence
Jibril - Archangel of Allah (Gabriel)
Jihad - Struggle, holy war
Jumah - Born on Friday



K

Kadar, Kedar - Powerful
Kadeen, Kadin - Friend, companion, confidant
Kadeer, Kadir - Green or green crop (connoting freshness and innocence)
Kahil - Friend, lover
Kaliq - Creative, refers to a quality of God
Kamal - Beauty, perfection
Kamil, Kameel - Perfect; one of the ninety-nine qualities of God
Kardal - Mustard seed
Karif, Kareef - Born in Autumn
Karim, Kareem - Generous, noble, friendly, precious and distinguished
Kasib, Kaseeb - Fertile
Kaseem, Kasim - Divided
Kateb - Writer
Khaldun, Khaldoon - Old Arabic name
Khalid, Khaled - Eternal
Khalil, Khaleel, Kalil - Beautiful, good friend
Khatib - Religious Minister
Khair al Din - The good of the faith
Khairy, Khayri - Charitable, beneficent
Khuzaymah - Old Arabic name



L

Labib, Labeeb - Sensible, intelligent
Latif - Gentle, kind, pleasant, friendly
Luqman - A Prophet's name
Lutfi - Kind and friendly



M

Mahdi - Guided to the right path
Mahir - Skilled
Mahmud, Mahmoud - The praised one; variation of the name "Muhammad"
Maimun - Lucky
Majdy - Glorious
Majid al Din - Glory of the Faith
Majid, Majd - Glorious
Makin - Strong, firm
Malik - Master, angel, king
Mamdouh - One who is commended, praised, glorified
Ma'mun - Trustworthy
Ma'n - Benefit
Mansur - Divinely aided
Marid - Rebellious
Marzuq - Blessed by God, fortunate
Mash'al - Torch
Mas'ud - Fortunate, happy, lucky
Mazin - Proper name
Misbah - Lamp
Mohammed - Praised; from "Muhammad", name of the Prophet (pbuh)
Mu'adh - Protected
Mu'awiyah - Young fox (first Umayyad Kalifah)
Mu'ayyad - Supported
Mubarak - Happy, blessed
Mufid, Mufeed - Useful
Muhammad - Praised; the name of the Prophet (pbuh)
Muhanned - Sword
Muhsin - Beneficient, charitable
Muhtadi - Rightly guided
Mujahid - Fighter (in the way of Allah)
Mukhtar - Chosen
Mundhir - Warner, cautioner
Munir, Muneer - Brilliant, shining
Muntasir - Victorious
Murtadi, Murtadhy - Satisfied, content
Musa, Moosa - A Prophet's name (Moses)
Mus'ad - Unfettered camel
Muslim - Submitting oneself to God
Mustafa - Chosen one
Muta - Obeyed
Mu'tasim - Adhering (to faith, to God)
Mu'tazz - Proud, mighty
Muti - Obedient
Muwaffaq - Successful



N

Nabhan, Nabih - Noble, outstanding
Nabil, Nabeel - Noble
Nadhir - Warner
Nadim, Nadeem - Friend
Nadir - Dear, rare
Naif Na'il - Aquirer, earner
Naim - Comfort, ease, tranquility
Naji - Safe
Najib, Najeeb - Of noble descent
Najjar - Carpenter
Najm al Din - Star of the faith
Nasih - Advisor
Nasim - Fresh air
Nasir, Nasser - Protector
Nasir al Din - Protector of the faith
Nasser - Victorious
Nawfal - Generous, old Arabic name for the Sea
Nazih, Nazeeh - Pure, chaste
Nazim, Nazeem - Arranger, adjuster
Nuh, Nooh - A Prophet's name
Numair - Panther
Nu'man - Blood
Nur al Din - Brightness of the faith
Nuri, Noori - Shining, brightness



O

Omar - Long life, first son, most high, the Prophet's follower
Omran - Solid structure



Q

Qasim - Divider, distributor
Qays - Firm
Qudamah - Courage
Qutaybah, Qutaiba - Irritable, impatient



R

Rabah - Gainer
Rabi - Spring, breeze
Rafi - Exalting
Rafiq - Kind, friend
Raghib, Ragheb - Desirous
Rahman - Compassionate, merciful; referring to qualities of God listed in the Qu'ran
Ra'id - Leader
Rais - Captain
Rakin - Respectful
Rashad - Integrity of conduct
Rashid - One of good council; rightly guided, having true faith
Ratib - Arranger
Rayhan - favored by God
Reda, Rida, Ridha - (In God's) favor; contentment, satisfaction
Ridwan - Acceptance, good will; name of the keeper of the gates of Heaven
Riyad, Riyadh - Gardens


S

Sabih, Sabeeh - Beautiful
Sabir, Sabeer - Patient
Saad - Good luck
Sadaqat - Charity
Sa'eed, Sa'id - Happy
Safiy - Best friend
Safwan - Rocks
Sahir - Wakeful
Sajid - One who worships God
Salah - Righteousness
Salah al Din - Righteousness of the Faith
Saleh, Salih - Good, right
Salim, Saleem - Safe, whole, flawless
Salman - Safe
Sameh - Forgiver
Sami - High, lofty, exalted
Samir, Sameer - Entertaining companion
Samman - Grocer
Saqr - Falcon
Sariyah - Clouds at night
Saud - Fortunate
Sayyid - Master
Seif, Sayf - Sword (of religion)
Seif al Din - Sword of the faith
Shadi - Singer
Shafiq, Shafeeq - Compassionate, tender
Shakir - Thankful
Sharif, Shareef - Honest, noble, distinguished
Shihab - Flame, blaze
Siraj - Lamp, light
Sofian - Devoted
Subhi - Early morning
Suhail, Suhayl - Gentle, easy; the name of a star
Suhayb - Of reddish hair or complexion
Sulaiman, Sulayman - A Prophet's name (Solomon)
Su'ud, Suoud - Good luck



T

Tahir - Pure, clean
Talal - Nice, admirable
Talib - Seeker (of truth)
Tamir - One who owns date palm trees
Tamam - Generous
Tarif, Tareef - Rare, uncommon
Tariq - Name of a star
Tawfiq - Success, reconciliation
Taymullah - Servant of God
Taysir - Facilitation
Tayyib - Good or delicate
Thabit - Firm
Thaqib - Shooting Star



U

Ubadah, Ubaida, Ubaydah - Servant of God
Ubaid - Faithful
Ubayy - Old Arabic name
Umar - Name of the second Khalifa
Umarah - Old Arabic name
Umayr, Umair - Old Arabic name
Usama, Usamah - Description of a lion
Utbah - Old Arabic name
Uthman - One of the companions of the Prophet (pbuh)




W

Wadi - Calm, peaceful
Wafiq, Wafeeq - Successful
Wahid - Singular, exclusive, unequalled
Wa'il - Coming back (for Shelter)
Wajih, Wajeeh - Noble
Wakil - Lawyer
Waleed, Walid - Newborn child
Walliyullah - Supporter of God
Wasim, Waseem - Graceful, good looking
Wazir - Minister


Y

Yahyah - A Prophet's name
Yaman - Proper name
Ya'qub - Arabic form of "Jacob"
Yasar, Yasser - Wealth, ease
Yasin, Yaseen - One of Muhammad's names
Yasir - Wealthy
Yazid, Yazeed - God will increase
Youssef, Yusef, Yusuf - Arabic form of "Joseph"; to increase (in power and influence); a Prophet's name
Yunus, Yoonus - A Prophet's name
Yushua - God saves
Yusuf - A Prophet's name (Joseph)


Z

Zafir - Victorious
Zahid - Self-denying or ascetic
Zahir - Bright, shining
Zaid, Zayd - Increase, growth
Zaim - Brigadier General
Zakariyya - A Prophet's name
Zaki - Intelligent
Zakiy - Pure
Ziyad - Super abundance
Zuhair, Zuhayr - Bright

------------------------------------------

Islamic Names for Girls

Tell a Friend
A

Abia - Great
Abida - Worshipper
Abir, Abeer - Fragrance
Ablah, Abla' - Perfectly formed
Abra - Example, lesson
A'dab - Hope and need
Adara - Virgin
Adiba - Cultured, polite
Adila, Adilah, Adeela - Equal
Adiva - Pleasant, gentle
Afaf - Chaste, virtuous, decent, pure
Afifah - Chaste
Afra' - White
Ahd - Pledge, knowledge
Ahlam - Witty; one who has pleasant dreams; imaginative
A'idah, Aida - Visiting, returning; reward
Ain - Eye, thus "precious"
Aini - Spring, flower, source, choice
A'ishah, Aisha, Ayishah - Living, prosperous, youngest wife of the Prophet (pbuh)
Akilah - Intelligent, logical, one who reasons
Alhena - A ring; (A star in the constellation Gemini)
Alima - Wise
Alimah - Skilled in music or dance
Aliyyah, Aliah, A'lia - Exaulted, noble, highest social standing
Almas - Diamond
Aludra - Virgin
Alzubra - (A star in the constellation Leo)
Amal, A'mal, Amala - Hopes, aspirations
Amani - Wishes, aspirations
Amatullah - Female servant of Allah
Amber - Jewel
Aminah, Ameena - Trustworthy, faithful
Amineh - Faithful
Amirah, Ameera - Princess, leader
Amtullah - Female servant of Allah
Anan - Clouds
Anbar - Perfume, ambergris
Anisah - Close, intimate, good friend
Anwar - Rays of light
Ara - Opinions
Areebah - Witty, smart
Arub - Loving to her husband
Asima - Protector
Asiya - One who tends to the weak, one who heals
Asma' - Excellent, precious; daughter of Abu Bakr
Atifa - Affection, sympathy
Atiya - Gift
Ayah - Sign; distinct
Azhar - Flowers, blossoms
Azizah, Azeeza - Esteemed, precious, cherished
Azzah - Young, female gazelle


B

Badi'a - Unprecedented, admirable, unique
Badra - Full moon
Badriyyah - Resembling the full moon
Bahira, Baheera - Dazzling, brilliant
Bahiya - Beautiful, radiant
Balqis - Name of the Queen of Sheba
Banan - Delicate, finger tips
Baraka - White one
Bari'ah - Excelling
Barika - Bloom, be successful
Bashirah, Basheera - Bringer of good tidings, joy
Basimah, Baseema - Smiling
Basmah - A smile
Batul, Batool - Ascetic virgin
Bilqis - Queen of Sheeba
Bushra - Good Omen
Buthaynah, Buthayna - Of beautiful and tender body


C

Cala - Castle
Cantara - Small bridge


D

Dahab - Gold
Dalal - Treated or touched in a kind and loving way
Duha, Dhuha - Forenoon


F

Fadilah, Fadheela - Virtuous, outstanding, superior, cultured and refined
Fadwa - Name derived from self-sacrifice
Faizah - Victorious, winner
Falak - Star
Farah - Joy
Faridah, Fareeda - Unique, matchless, precious pearl or gem
Farihah, Fareeha - Happy, joyful, cheerful, glad
Fatimah, Fatima - Accustom; Daughter of the Prophet (pbuh)
Fatin or Fatinah - Captivating, alluring, enchanting
Fawziyyah, Fawziya, Fazia - Successful, victorious
Fellah - Arabian jasmine
Firyal - Name
Firdaws, Firdoos - Highest garden in Paradise


G

Ghadah - Beautiful
Ghaliyah - Fragrant
Ghaniyah - Pretty girl, beautiful woman, beauty
Ghayda - Young and delicate
Ghusun, Ghusoon - Branches of a tree


H

Habibah - Beloved, sweetheart, darling
Hadiya - Guide to righteousness
Hadiyyah - A gift
Hafsah - Wife of the Prophet (pbuh)
Hafthah - Preserved, protected
Haifa, Hayfa' - Slender, of beautiful body
Halah - Aureole
Halimah, Haleema - Gentle, patient, mild-tempered
Hamidah, Hameeda - Praiseworthy
Hana' - Happiness
Hanan - Mercy
Hanifah, Hanifa, Haneefa - True believer
Haniyyah - Pleased, happy
Hasna' - Beautiful
Hayam - Deliriously in love
Hayat - Life
Hessa - Destiny
Hibah - Gift
Hind - Proper name
Huda, Hooda - Right guidance
Huma - Bird who brings joy
Huriyyah, Hooriya - Angel
Husn - Beauty
Husniyah - Beautiful


I

Ibtihaj - Joy
Ikram - Honor, hospitality, generosity
Ilham - Intuition
Iman - Faith, belief
Imtithal - Polite obedience
In'am - Kindness, benefaction, bestowal
Inas - Sociability
Inaya - Concern; solicitude
Intisar - Triumph
Izdihar - Flourishing, blooming


J

Jala' - Clarity, elucidation
Jamilah, Jameela - Beautiful, graceful, lovely
Janan - Heart, soul
Johara - Jewel
Jumanah - Silver pearl


K

Kalila - Sweetheart, beloved
Kamilah - Perfect
Karida - Untouched
Karimah, Kareema - Generous, noble
Kawthar - River in Paradise
Khadijah, Khadeeja - First wife of the Prophet (pbuh)
Khalidah - Immortal
Khayriyyah, Khairiya - Charitable, good
Khulud, Khulood - Immortality
Kulthum, Kulthoom - Daughter of the Prophet (pbuh)


L

Lama - Darkness of lips
Lamis, Lamees - Soft to the touch
Lamya' - Of dark lips
Latifah, Lateefa - Gentle, kind, pleasant, friendly
Layla, Leila - (Born at) night
Lina, Leena - Tender
Lubabah - The innermost essence
Luloah - A pearl
Lu'lu' - Pearls


M

Madihah, Madeeha - Praiseworthy
Maha - Wild cow, cow-eyes
Ma'isah - Walking with a proud, swinging gait
Maizah - Discerning
Majidah, Majeeda - Glorious
Makarim - Of good and honorable character
Malak - Angel
Malika - Queen
Manal - Attainment, achievement
Manar - Guiding light
Maram - Asperation
Mariam, Maryam - Mother of Jesus (pbuh); Arabic form of "Mary"
Mas'ouda - Happy, lucky, fortunate
Mawiyah - The essence of life
Maymunah - Auspicious, blessed
May - Old Arabic name
Maysa' - To walk with a proud, swinging gait
Maysun, Maysoon - Of beautiful face and body
Mayyadah - To walk with a proud, swinging gait
Mufidah, Mufeeda - Useful
Muhjah - Heart's blood, soul
Muminah - Pious believer
Muna, Mona - Wish, desire
Munirah, Muneera - Illuminating, shedding light
Mushirah, Musheera - Giving counsel, advising
Muslimah - Devout believer


N

Nabihah, Nabeeha - Intelligent
Nabilah, Nabeela - Noble
Nada - Generousity, dew
Nadia - The beginning, first
Nadidah, Nadeeda - Equal, rival
Nadirah - Rare, precious
Nadwah - Councel
Nafisah, Nafeesa - Precious thing, gem
Nahlah - A drink of water
Na'ilah - Acquirer, obtainer, one who succeeds
Na'ima, Na'imah - Comfort, amenity, tranquility, peace
Najah - Success
Najat - Safety
Najibah, Najeeba - Of noble birth
Najiyah - Safe
Najla - Of wide eyes
Najwa - Confidential talk, secret conversation
Najya - Victorious
Nashida - Student
Nashita Energetic, full of life
Nashwa - Fragrance, perfume, that which intoxicates
Nasiha - One who gives valuable advice
Nasira - Victorious, helper
Nathifa - Clean, pure
Nawal - Gift
Nawar - Flower
Nazahah - Purity, righteousness, honesty
Nazihah - Honest
Nazirah - Like, equal, matching
Nibal - Arrows
Nida - Call
Ni'mah - Blessing, loan
Ni'mat - Blessings, loans
Nouf - Highest point on a mountain
Nudar, Nudhar - Gold
Nuha - Intelligence
Numa - Beautiful and pleasant
Nur, Noor - Light


Q

Qubilah - Concord


R

Rabab - White cloud
Rabi'ah - Garden, springtime
Radeyah, Radhiya - Content, satisfied
Radwa, Radhwa - A mountain in Medina
Rafa' - Happiness, prosperity
Raghd - Pleasant
Rahimah - Merciful, compassionate
Ra'idah - Leader
Raja' - Hopeful
Rana - To gaze, look
Rand - Tree of good scent
Raniyah - Gazing
Rasha - Young gazelle
Rashida, Rasheeda - Wise, mature
Rawdah, Rawdha - Garden
Rawiyah - Transmitter of ancient Arabic poetry
Rayya - Sated with drink
Rida - Favored by God
Rihana - Sweet basil
Rim, Reem - Gazelle
Rima, Reema - White antelope
Rukan - Steady, confident
Ruqayyah, Ruqaya - Gentle; Daughter of the Prophet (pbuh)
Ruwaydah - Walking gently


S

Sabah - Morning
Sabirah - Patient
Safa - Clarity, purity, serenity
Safiyyah - Untroubled, serene, pure, best friend
Sahar - Dawn
Sahlah - Smooth, soft, fluent, flowing
Saidah - Happy, fortunate
Saihah - Good, useful
Sakinah, Sakeena - God-inspired peace of mind, tranquility
Salihah - Correct, agreeable
Salimah, Saleema - Peace, flawless, faultless, safe, healthy
Salma - Peaceful
Salwa - Solace; quail
Samah - Generosity
Samar - Evening conversation
Sameh - Forgiver
Samihah, Sameeha - Generous
Samira, Sameera - Entertaining female companion
Samiyah - Elevated, exhalted, lofty
Sana' - Resplendence, brilliance; to gaze or look
Sawsan - Lily of the valley
Shadha - Aromatic
Shadiyah - Singer
Shahrazad - Teller of "Tales of 1,001 Nights"
Sharifah, Shareefa - Noble
Siham - Arrows
Souad or Su'ad
Suha - Name of a star
Suhailah, Suhaylah, Suhayla - Smooth, soft, fluent, flowing
Suhaymah - Small arrow
Suhayr, Suhair - Proper name
Sumayyah, Sumaiya - Proper name


T

Tahirah - Pure, chaste
Takiyah - Pious, righteous
Talibah - Seeker after knowledge
Tarub, Taroob - Merry
Thana' - Thankfulness
Thara' - Wealth
Thurayya - Star


U

Umayma - Little mother


W

Wafa' - Faithfulness
Wafiqah, Wafeeqa - Successful
Wafiyyah, Wafiya - Loyal, faithful
Wahibah - Giver, donor
Wajihah, Wajeeha - Eminent, distinguished
Walidah - Newborn
Warda, Wardah, Wordah - Rose
Widad - Love, friendship
Wijdan - Ecstacy, sentiment
Wisal - Communion in love


Y

Yafiah - High
Yakootah - Emerald
Yamha - Dove
Yaminah - Right and proper
Yasirah - Lenient
Yasmine, Yasmin, Yasmeen - Jasmine
Yumn - Good fortune, success
Yusra - Proper name


Z

Zafirah - Victorious, successful
Zahirah - Shining, luminous
Zahra' - White
Zahrah - Flower, beauty, star
Zainab, Zaynab - Daughter of the Prophet (pbuh)
Zakiyyah - Pure
Zaynah, Zaina - Beautiful
Zubaidah - Excellent


PLS HIT THANKS + REPUTE

12 Most Controversial International Magazine Covers of all

The New York magazine is no stranger to controversial covers. But when the story of New York’s governor Eliot Spitzer’s shocking involvement in a prostitution ring appeared in the magazine cover, it sure raised some eyebrows. Imagine this happening in our country.
The cover of the September 14, 2001 special edition of TIME features a photograph of the two hijacked airliners ripping through the World Trade Center towers on September 11, 2001, taken by photographer Lyle Owerkoof. The issue included testimonies from survivors, more photographs of the Twin Towers after the bombings, and a salute to all those who perished in the tragedy. Just imagine the place where the photographer stood while taking this picture.
This controversial cover of The Economist from 1994 portrays “The Trouble with Mergers” by showing an illustration of two camels at it. The London-based magazine published the cover in the North American edition, but not in the European edition. Reaction to this cover was mixed, with some readers disgusted and others highly amused.
In November 1965 LIFE Magazine used this photo by Paul Schutzers. He captured the arresting image of a VietCong prisoner being taken prisoner by American forces during the Vietnam War. Photography and news coverage like this helped to turn the American public against the Vietnam war. While Schutzers was one of LIFE’s best photographers, he was killed on assignment during the Six-Day War of 1967 between Israel and its neighbouring states of Egypt, Jordan, and Syria.
This magazine cover of The Nation features artwork by Brian Stauffer that depicts George Bush as Alfred E. Neuman. The Nation compared Bush to Alfred E. Neuman, the fictional mascot of the magazine Mad, complete with a button that reads, “What, me worry?” The U.S. presidential election was held on November 7, 2000 and when this issue of the magazine was released (November 13), the winner of the election was still unclear. The issue discusses what would happen to the country and the world if Bush became president and in fact Bush was announced the winner next month and the rest is as we say – history.

Release a magazine cover with a Democratic US presidential nominee in Muslim attire and adorn his wife in militant underground attire, armed with an AK-47 and there is sure to be a volcanic reaction. Not to mention the burning U.S. flag? When the then-presidential hopeful happens to be Barack Obama drawn here on the cover of July 2008 The New Yorker in the midst of a so-called “terrorist fist jab” with his wife Michelle, any attempts at good natured satire are sure to be lost on the involved parties. Imagine the riots this would have caused had it beed our leaders.


FIND NEXT SIX IN ADULT STUFF SECTION

American singer Beth Ditto was widely praised for the controversial NME cover in June 2007. Feminist icon Germaine Greer said about the image: “NME had enough courage to put the coolest woman on the planet on the cover, and Beth Ditto has given them the kind of picture that they can use: attention-getting but certainly not obscene.” Controversial to say the least.
I remember this hugely memorable cover for Rolling Stone’s September 1993 Edition of Janet posing with her breasts cupped by a pair of anonymous hands. It also appeared in a Hindi gossip magazine at the time. Arguably one of the greatest controversial music images of the nineties.
This Vanity Fair cover was a controversial handbra nude photograph of the then seven-months pregnant Demi Moore taken by Annie Leibovitz for the August 1991 cover. The cover has had a lasting societal impact. Since this cover was released, several celebrities have posed for photographs in advanced stages of pregnancy, although not necessarily as naked as Moore. This trend has made pregnancy photos fashionable and created a booming business.
Back in her heyday Britney Spears was the innocent school girl. She raised eyebrows when she did this cover for Rolling Stone magazine in April 1999, posing in her underwear on a bed, clutching a teletubby (wtf?). If only we knew what was to come! 
The most poignant over ever! Annie Leibovitz took this shot for the Rolling Stone issue of January 22, 1981 just hours before John Lennon was shot outside of his apartment building, the Dakota, in New York City on December 8, 1980. Leibovitz originally wanted to take the shot of Lennon alone but he insisted that his wife be in the pictures. This cover was named the most popular magazine cover of the past 40 years by the American Society of Magazine Publishers.
This (in)famous June 1978 cover of soft porn magazine Hustler pictured a woman’s legs sticking out of a meat grinder. Eeaw!


The highest priced Homing Pigeon was sold for $225,000.

Pigeons are the only bird in the world that do not have to lift their head to swallow water.

Pigeons can hear wind blowing over mountains from hundreds of miles away.

During First World War a pigeon named Cher Ami saved the lives of many French soldiers by carrying a message across enemy lines.

Despite enemy fire, pigeons achieved a 98% success rate in missions flown in WW II often with mortal injuries to themselves.

Pigeons have monocular vision rather than binocular vision they bob their heads for depth of perception.

Unless separated, pigeons mate for life.
Both pigeon parents feed the young with a special ‘pigeon milk’ that is regurgitated and fed to the squabs.

Pigeons are considered to be one of the most intelligent birds on the planet.

The most widespread misconception about urban pigeons is that they are carriers of disease.

Pigeons flock together in large numbers to protect themselves against, cats, rats and foxes.

Pigeons are arranged into four subfamilies: typical pigeons, which eat predominantly seeds; fruit pigeons, fruit eaters found in tropical Africa and Asia; crowned pigeons, which have a crest of feathers on the head; and a fourth subfamily containing only one species—the Tooth-billed Pigeon, which has a serrated upper bill.

When the pigeon is in long flight, it reaches back and holds on to the short tail feathers with its feet in order to save energy from holding its legs up.

Pigeons are known to survive for almost 10-15 years in their natural habitats. The longest recorded life-span of a pigeon was around 33 years.

A research recently established that trained pigeons were more than twice as reliable as humans and much swift in spotting red and yellow jackets floating on water and thus could be efficient life-savers.

In the mid 1800’s, the Reuters News Agency operated a live telex service using Homing Pigeons.

The ability to hear sounds 11 octaves below middle C allow the pigeons to detect earthquakes and electrical storms.

Most pigeons feed on seeds, grain and fruits. They also eat insects and worms. They are different from other birds in that they have the ability to stick their bills into water and suck it up without raising their heads.

Racing Pigeons routinely maintain flight speeds of 50 to 60 mph.
They have been known to see very well over a 26 mile distance.

Hit Thanx If u like

!!!! nIcE lOvE qUoTeS !!!!!


# Even my child started to walk without any support, nut my wife still holds my hand while walking
# A wife is the joy of a man's heart
# Love is moral even without legal marriage, but marriage is immoral without love.
# There is no more lovely, friendly and charming relationship, communion or company than a good marriage. - Martin Luther King
# You don't marry someone you can live with, you marry the person who you cannot live without.
# No man is truly married until he understands every word his wife is NOT saying
# A successful marriage requires falling in love many times, and always with the same person. - Mignon McLaughlin
# An archaeologist is the best husband a woman can have. The older she gets the more interested he is in her.
# To be happy with a man you must understand him a lot and love him a little. To be happy with a woman you must love her a lot and not try to understand her at all
# Many marriages would be better if the husband and the wife clearly understood that they are on the same side.
# The husband who decides to surprise his wife is often very much surprised himself.
# A good wife is one who serves her husband in the morning like a mother does, loves him in the day like a sister does and pleases him like a prostitute in the night. - Chanakya
# The relationship between husband and wife should be one of closest friends. - B. R. Ambedkar
# Whenever I fail as a father or husband... a toy and a diamond always works. - Shah Rukh Khan
# When a husband brings his wife flowers for no reason, there’s a reason. - Molly McGee
# A good marriage would be between a blind wife and a deaf husband. - Honore De Balzac
# A woman worries about the future until she gets a husband, while a man never worries about the future until he gets a wife.
# After marriage, husband and wife become two sides of a coin; they just can’t face each other, but still they stay together.
# At first a woman doesn’t want anything but a husband, but just as soon as she gets one, she wants everything else in the world.- Elbert Hubbard
# At first a woman doesn’t want anything but a husband, but just as soon as she gets one, she wants everything else in the world. - Elbert Hubbard

# Sometimes I think [my husband] is so amazing that I don't know why he's with me. I don't know whether I'm good enough. But if I make him happy, then I'm everything I want to be. - Angelina Jolie
# In a husband there is only a man; in a married woman there is a man, a father, and mother, and a woman. - Honore de Balzac
# Husbands are like fires - they go out if unattended. - Zsa Zsa Gabor
# A good wife makes a good husband
# Of all the home remedies, a good wife is best.
# When a man opens a car door for his wife, it’s either a new car or a new wife.
# My wife dresses to kill. She cooks the same way. - Henry Youngman
# A successful man is one who makes more money than his wife can spend. A successful woman is one who can find such a man. - Lana Turner
# No man succeeds without a good woman behind him. Wife or mother, if it is both, he is twice blessed indeed. - Harold Macmillan

BILL GATES On the rules of life for graduates.


Some have said this was from Bill Gates talk to high school graduates
but probably he did not say this unless he quoted Sykes.

RULE 1.

Life is not fair; get used to it.

RULE 2.

The world won't care about your self-esteem. The world will expect you
to accomplish something BEFORE you feel good about yourself.

RULE 3.

You will NOT make 40 thousand dollars a year right out of high school OR
college. You won't be a vice-president with a car phone, until you earn
both.

RULE 4.

If you think your teacher is tough, wait until you get a boss. He
doesn't have tenure.

RULE 5.

Flipping burgers is not beneath your dignity. Your grandparents had a
different word for burger flipping; they called it opportunity.

RULE 6.

If you mess up, it's not your parents' fault, so don't whine about your
mistakes, learn from them.

RULE 7.

Before you were born, your parents weren't as boring as they are now.
They got that way from paying your bills, cleaning your clothes and
listening to you talk about how cool you are. So before you save the
rain forest from the parasites of your parents' generation, try
"delousing" the closet in your own room.

RULE 8.

Your school may have done away with winners and losers, but life has
not. In some schools they have abolished failing grades; they'll give
you as many times as you want to get the right answer. This doesn't bear
the slightest resemblance to ANYTHING in real life.

RULE 9.

Life is not divided into semesters. You don't get summers off and very
few employers are interested in helping you find yourself. Do that on
your own time.

RULE 10.

Television is NOT real life. In real life people actually have to leave
the coffee shop and go to jobs.

RULE 11.

Be nice to nerds. Chances are you'll end up working for one.